শিকারগুচ্ছ
১.
সোহাগে ডুবে গেলে
নেকড়ের কান্নার শিকার হবে
ওই মেয়েটি দুগ্ধপোষ্য! দূর থেকে
জিভ ঝুলিয়ে মাপতে থাকে মতিগতি...
ভবনের খুব কাছে বনের শুরু। ওৎ পাতে
ছায়াছবি সংসারে; সুড়ঙ্গ আঁকে শেয়াল...
২.
ঘুমের ভিতরে জল জল আদর!
প্রতিকৃতি ভাসে এখানে, খাদের খাটে
দুহাতে গোল দরজা; বন্ধ রেখেছে
প্রিয়ের চামড়াবেষ্টিত মাংসাশী চুমি!
কে কোথায় জানে না এই হৃৎপিন্ড
ধক্ করে নিভে যাবে; বেড়ালের বশে...
৩.
এমন করে তাকে জড়িয়ে
বোঝো না; ছড়িয়ে যাচ্ছে ঋতুস্রাব
কখন যে আঁতকে উঠবে; পৃথিবী
পয়েন্ট ব্লাঙ্ক রেঞ্জ থেকে এই তো সময়
শুধু জীবনের মেরামতে নেই
এইসব সাইকো সংকর জেনারেশন!
৪.
এইবার ফ্লাসব্যাকে আসা যাক
সাদৃশ্যে সব এক! এভাবেই স্যাটার খুলে
জাদুপথ দিয়ে একে একে
টেনে নেবে কার্যত চোখহীন মানুষের বাঘ
যাদের হাঁটুর গোড়ালিতে যত সুন্দর
মাথা, তারাই তো লিখে ফ্যালে সুক্ষ্ম ফাঁদ...
৫.
বিছানায় দূরবর্তী ছাপ দেখে
কখনো দু পা পিছিয়ে যায় স্যাটেলাইট
নূপুর ঘাসে ভরে ওঠে জ্যোৎস্নার শব্দ
অন্য আলোর গায়ে গা ঠেকিয়ে
ব্যস্ত হরিণের পাপড়ি খোলা গান
মুখে পান, আড়ষ্ট শরীরে থাবা
ফ্যান্টাসি এলইডিতে একবার
ছোবলের আগেই শিকারী নিজেই শিকার
খুলির থেকে স্যুপের গন্ধ ভারি চমৎকার!