নির্বাণ তবু নির্বাণ নয় ১. কামুক বাতাসে গা ভিজিয়ে নিচ্ছে বেনা।চুরি রাহাজানি ছিনতাই হাতকাটা গদাই টইটম্বুর। আগুন আর আগুনের গান এক নয়, উপলব্ধির ব্যাপার।জীবন আগুন হলে ছবি হওয়া ছাড়া উপায় নেই। পলাশ আর
Home
Archive for
May 2020
কবিতা : প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী
শর্তাবলী প্রযোজ্য চিরকাল অবিশ্বাসী আচারে বিচারে সিঁদুরের লাল থেকে এঁটো ছোঁয়াছুঁয়ি অসহ্য অপ্রেমে স্পর্শে কিংবা আদরে এ বাবা এভাবে মেয়েদের যেতে নেই উচ্চগ্রামে হাসি ঠাট্টা! দুটো মেয়ে একা! যে সয়, সে রয় মার্কা কথামালা দিয়ে সাজাতে চেয়েছে যারা উচ্চাসনে বসে বিশুদ্ধ ঘৃণার চোখে দেখেছি তাদের ভালবাসা বোধকরি তত শুদ্ধ নয় প্রতিশোধ তোমার জানা উচিত। হাতে কোনও ঠিকানা না নিয়েও শব্দেরা যে পৌঁছে যেতে পারে ঠিক ঠিকানায়, সেটা জানা উচিত। তাই বার বার ঠিকানা বদল করেও লাভের লাভ কিস্যু হবেনা শুধু শুধু বাক্স প্যাঁটরা বেঁধে বর্তমান প্রেমিকটিকে দিয়ে সেসব বইয়ে গলির ভেতর গলি তার আবার ডান দিক বাঁ দিক। তারপর দোতলা একতলা। তালা, চাবি। জানালা দরজা খেয়াল রাখা সব সময়! আওয়াজ হলে বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া। মাঝরাতে তাকে ঘুম থেকে তোলা। তার বোকা বোকা আশ্বাসে সাহস খোঁজার চেষ্টা। তারপর আবার এক গ্লাস জল ঢোঁক না গিলে খেতে গিয়ে গায়ের ওপর ফেলা। ঝক্কি কার? তোমার না আমার? আমি পিছু নাই নিতে পারি। নিইনি। কারণ তুমি না জানলেও আমি জানি শব্দের ঠিকানার প্রয়োজন নেই। চাইলেই পৌঁছে যাবে ঠিক ঠিকানায়। ধীরে হাওয়া বইলেও শব্দ হয়। গাছের পাতা ঝরে পরলেও শব্দ হয়। মেঘেরা স্থান পরিবর্তন করলেও শব্দ হয়। সন্তর্পনে বৃষ্টি নামলেও শব্দ হয়। আমি পিছুও নিইনি। কিন্তু এমন কোনও শব্দহীন ঠিকানা খুঁজে পাবে কি তুমি যেখানে গাছ নেই, হাওয়া নেই, মেঘ নেই? চিরকাল চমকে উঠবে বারবার। বধির হতে চাইবে। অথচ আমি ডিহিং নদীর ধারে নির্জনে বসে সবুজ জলের শব্দ শুনব আর শুধু শুনতেই থাকব... সংযোজন তোমায় যত না ভাবি, তাকে ভাবি আরো বেশি। উত্তর খুঁজি পাশাপাশি...
কবিতা : বিজয় সিংহ
যদি চর্তুদশপদী চর্তুদশপদী যদি দু'পায়ে ঘুঙুর চোখে গীত তুমি কি সন্ধের হয়ে জাদুকরী দেখাবে আমাকে তুমি কি ছত্তিশগড়ী মুদ্রা হয়ে যাবে দেশাতীতে রাষ্ট্র যদি অসম্মত, তুমিই পত্র পুষ্প ভূমি ভূমা আমার স্বরাজ্য নেই
কবিতা : সৌমাভ
প্রদীপ যতক্ষণ কাছে ছিল ততক্ষণ বিষাদগুলি আলাদা, ভাসিয়ে দেওয়ার পর নদীর ঘাট থেকে সমস্ত ইচ্ছে-বেদনাকে দেখায় সমান যে প্রদীপ হাত ছেড়ে যায় তার আর কোন দুঃখ থাকে না বুদ্ধ পূর্ণিমা আগুন আঁকবে ভেবে
কবিতা : তৃণা চক্রবর্তী
মামুলি কখনো কখনো এভাবেই থেকে যায় কেউ পাহাড়ি ঝর্ণার পাশ কাটিয়ে বিকেলের নীল পর্দার পাশ কাটিয়ে জেগে ওঠা দুপুরের বুদ্ধমূর্তির কাছাকাছি এভাবে থেকে যাওয়া হয়ত সহজ এই সব নিয়ে কথা হত আমার আর
কবিতা : বিশ্বজিৎ মাহাত
তুমি ও বিষাদনিক্বণ ১ প্রতিটি শোকের বুকে ছিপ ফেলে বসে আছে শোক কেউ বা সাঁতার মুখে জ্বেলে রাখে বিষাদ পূর্ণিমা কেউ বা হাওয়ায় একা অবকাশে চিঠির বাহক কান্নাকে কবুল করো হৃদয়েই পুঁতে যাবো
ছোটগল্প : যুগান্তর মিত্র
সোনা জ্যাঠা প্রতিদিন ঠিক সকাল আটটা নাগাদ সোনা জ্যাঠা আসতেন। কোনও বিরাম নেই। আমিও এইসময় ঘুম থেকে উঠে চোখেমুখে জল দিয়ে খবরের কাগজ পড়তে বারান্দায় এসে বসতাম। সোনা জ্যাঠাকে দেখলেই আমার মাথায় চড়চড়
কবিতা : রঞ্জন ভট্টাচার্য
অক্ষমতা যতবার তোমাকে আঘাত করেছি, সচেতন ভাবেই করেছি। অথচ পূর্ব পরিকল্পনায় ছিলনা কোন শূন্যের অহঙ্কার। প্রতিটি আঘাতে শক্ত হয়েছে হৃদয় তহবিল। আজলা ভরে নিয়েছি যা ফিরিয়ে দেইনি। সাদা পাতার বুকে কাটা কম্পাসের আঘাত
কবিতা : সৌমনা দাশগুপ্ত
দেবী নিরঞ্জনের কিনারা ঘেঁষে রোগা এক একলা বাঘিনী রঙের ধারাটি বয়ে যায়, কোলকুঁজো। ধুয়ে যাচ্ছে মাটি উড়ে যাচ্ছে পরানদোতরা। প্রাণপ্রতিষ্ঠার পরে যা বলেছিলেন দেবী ধান্য পুষ্প আর দুগ্ধবতী গাভীকুল – অথই গেরস্তি সরিয়ে
ব্যক্তিগত গদ্য : বিধান সাহা
ঈদ মোবারক * একবার হায়দার ভাইয়ের বাড়িতে দাওয়াত পেয়েছিলাম। বাপিকে বলতেই এক ধমকে দাওয়াত খাওয়া 'ছুটিয়ে' দিয়েছিলেন! লাচ্চা নাকি গরুর তেল দিয়ে বানানো হয়। 'ঈদের দিন রান্না-বান্না কি কেউ তোমার জন্য আলাদা করে
কবিতা : মহুয়া বৈদ্য
হাইকু সনেট-১ হাওয়া এলে ঝরাপাতার দল গান শোনায়... রোদের ওম্ ছায়া আবছায়ায় ব্যাকগ্রাউন্ড... নদীর জল ছলকে ওঠা ঢেউ স্বরলিপি... ধুলোর পথ সুরের কণাগুলি উড়িয়ে দেয়... আমার মন কবে এমন সুরে গান... তিনটি কবিতা
কবিতা : মলয় গোস্বামী
পাঁচটি কবিতা ১. জোনাকির ব্যাকুলতাই ---- আলো । একদিন এ ছোট্ট অনুভব, মনের মধ্যে যেন বলেই পালালো ... জীবনও তো এ রকম, আমাকে জানিয়ে দেয় কোনো সন্ধ্যাকালে
Subscribe to:
Posts
(
Atom
)