কবিতা : দিমিত্রিস লিয়াকস • ভাষান্তর : রুদ্র কিংশুক



জেড টু ওয়ান থ্রি : প্রস্থান (অংশ)



শুরুতে তুমি দেখো না কেবল কল্পনা কর, তারপর ভাব যে তুমি দেখছো-- তোমার মনে তুমি রেখে দাও একটা জায়গা, যেখানে, তবুও, কিছুই দৃশ্যমান নয়। কেবল শূন্যতা আর কুয়াশা। তার পর তুমি এরই একটা অংশকে বিচ্ছিন্ন কর এবং বুঝতে চেষ্টা কর স্থলনিসর্গকে তোমার দর্শনের পরিসরে, সেই বিন্দু পর্যন্ত, যেখানে, একে একে, বস্তুসমূহ প্রত্যক্ষ করা যায়। কিন্তু যত বেশি দূরে তুমি তাকাও ততটাই তা আবার ঝাপসা হয় আর যখন তুমি সামনে অগ্রসর হও সীমারেখাও সরে যায়। তখন তুমি তোমার পাশের জানালার বাইরে তাকাও, কয়েক গজ দূরে আর তুমি তাদের দেখ ভ্রাম্যমাণ, এটা তুমি নিজে নও, এগুলো হলো বস্তু,  যদি তাদের তুমি বস্তু বলতে পার। তুমি তাদের দেখ ট্রেনের পাশে চলে যেতে, তুমি তাদের স্পর্শ করতে পার না,  তুমি তাদের দেখ। পারম্পর্যে, একের পর এক।  আর যদি তোমার চোখ বন্ধ থাকত তবু তারা থাকত চলমান স্পর্শের ভেতরে,  যদি তুমি বাহু পেতে দিতে এবং স্পর্শ করতে পারতে,  তুমি অনুভব করতে তাদের চলে যাওয়া তোমার হাত পার হয়ে, সময়ের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়া যা পরস্পরকে অনুসরণ করে ঘটনা পরম্পরায়। এভাবেই তুমি তাকে ডাক, পারম্পর্য বলে, আর যদি বিপরীতে তোমাকে করতে হতো একই নড়াচড়া, তুমি আগাম বুঝতে পারতে,  একই পারম্পর্য, শেষ থেকে প্রথম। আর যদি অন্য কোথাও শুরু করতে চাইতে তুমি গতিপথ বদলাতে পারতে, বদলাতে পারতে সেই পারম্পর্য। তোমার হাত তোমার ট্রাউজার থেকে, চেয়ারে, এবং তার হাতলে, জানালার কাচে  এবং আবার ফেরা, একই পারম্পর্য ফাঁক সহ যা তুমি দেখেছ তুমি দেখেছিলে শূন্যে। তুমি সেই,  সেই সমস্ত, যাদের তুমি বস্তু বল,তারা কেবল নাম,  যদিও,  তারা আত্মার সঙ্গে কথা বলে। এবং তোমার সর্বদায় সুযোগ আছে চোখ বন্ধ করা এবং নতুন করে শুরু করার, আবার সেই একই ব্যাপার,  তুমি জান কীভাবে সেটা হয়।
তুমি যখন তাকাও ঠিক তেমন নয়, এবং, ক্রমে ক্রমে, তুমি উপলব্ধি করে তারা অন্য রকম, রঙ বদলে যায় কারণ আলো বদলায়, আকারে আরো বড় হয় যখন তুমি তাদের কাছে নিয়ে আস, যতক্ষণ না তুমি আরো কিছু দেখতে পাও, তারা অদৃশ্য হয়, তারা আলোর ভেতরে এবং বাইরে আসে। তুমি তাদের অন্ধকারে ভুলে যাও আর আলোয় তাদের জন্য অপেক্ষা কর। আর এখন যেহেতু আমরা অন্ধকারে অগ্রসর হচ্ছি তুমি দেখছো এবং প্রত্যাশা করছো খুঁজে পেতে সেখান থেকে কী উৎসারিত হবে, আমার আমরা যাওয়াটা অব্যাহত রাখছি। কারণ তুমি এটাও জান যে আকাশ আছে, এমনকি তা অন্ধকার হলেও, ফাঁকা হলেও, যেহেতু তুমি জান যে নীচে পৃথিবী তোমাকে সামনে ঠেলছে। চাকা তাকে ঠেলছে এবং, পরিবর্তে,  সে ঠেলছে তাকে সামনের দিকে। যদি তা একটু নমনীয় হতো আমরা তার ভেতরে ঢুকে যেতে পারতাম। হয়তো ভেতরে যাব বলে আমরা কোথায় চলেছি। হয়তো আমরা যখন সেখানে পৌঁছাব, দিগন্তরেখায়, এই উপরিতল শেষ পর্যন্ত এতটা কঠিন থাকবে না। আমরা সবাই মিলে সেখানে চলেছি,  ট্রেনে যা সরাচ্ছে আলো এবং তার সঙ্গে খেলছে, এবং আলো খেলছে একটা জিনিসের ওপর যা লুকিয়ে পড়ছে। সেই বদলগুলো রূপ নেয়, গতিময় উপরিতল। এবং রাস্তা খুলে যায় যখন আমরা রাস্তার কাছে যাই,তখন রাস্তা খুলে দেয় নতুন রাস্তা, যাতে না আমরা থামতে বাধ্য না হই,  আমাদের সামনে একটা দরজা প্রতিনিয়ত খুলছে। আমরা তাকে কখনোই আমাদের সামনে বন্ধ দেখব না,কখনও থামব না,  দরজায় ধাক্কা দেব না,  কেউ তা আমাদের জন্য খুলে দেবে না। আমরা কখনই নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না পাকখোলা সুতো।  আমাদের সামনে তার পাক লাগবে এবং খুলবে,  আমরা তা দেখতেই থাকব, আমাদের থেকে দূরে আগে এক কালো চিহ্ন।
নিঃশব্দে, অথবা এই শব্দের ট্রেনে ভ্রমণ। যা তোমাকে টানে অথবা ঠেলে দেয়,  তুমি নড়ে ওঠ  কিন্তু তবু স্থির থাকো সেখানে।  এবং তুমি গ্রাহ্য কর না আর কীভাবে খুলতে পারবে এবং ঢুকতে পারবে এবং দেখবে অন্য কিছু কারণ যদিও তুমি অগ্রসর হও তুমি কিছুতেই পৌছাবে না, ভেতর ও বাহির বলে কিছু নেই,  তুমি কখনও ভেতরে আসনি, কারণ তোমার জন্য প্রবেশপথ কেবল সেখানেই, তুমি অনুসরণ কর একটা দরজা যা প্রতিনিয়ত খুলছে, যদিও তুমি ভেতরে নও এবং, অবশ্যই, কোনও পথ নেই যা দিয়ে তুমি বাইরে আসতে পার।




গ্রিক পাণ্ডুলিপি


ΔΗΜΗΤΡΗΣ ΛΥΑΚΟΣ
Ζ213: ΕΞΟΔΟΣ (απόσπασμα)




[...]
Στην αρχη δε βλεπεις μονο φανταζεσαι, υστερα νομιζεις πως βλεπεις, απλωνεις με το μυαλο σου μια εκταση οπου ακομα δε φαινεται τιποτα. Σκετος χωρος, ομιχλη. Υστερα απομονωνεις ενα κομματι για να ξεκαθαρισει το τοπιο στο πεδιο του βλεμματος, μεχρι εκει που μπορεις να ξεχωρισεις ενα ενα αντικειμενα. Οσο κοιταζεις πιο περα θαμπωνει κι οσο προχωρεις τα ορια πηγαινουν πιο πισω. Υστερα κοιτας απ’ το παραθυρο διπλα σου, λιγα μετρα και λιγο πιο περα και βλεπεις να ταξιδευουν, οχι εσυ, τα αντικειμενα, αν μπορεις να τα πεις αντικειμενα. Τα βλεπεις να φευγουν διπλα στο τραινο, δε μπορεις να τα αγγιξεις, τα βλεπεις. Στη σειρα το ενα πισω απ΄το αλλο. Αλλα ακομα κι αν ειχες τα ματια κλειστα θα ταξιδευαν μεσα απο ο,τι αγγιζες, αν μπορουσες να απλωσεις το χερι και να τα αγγιξεις, θα τα ενιωθες να περνουν απ’ το χερι σου, συναντησεις που θα ακολουθουσαν η μια την άλλη, σε μια σειρα. Εσυ θα την ελεγες ετσι, σειρα, κι αν εκανες την ιδια κινηση αναποδα, θα μπορουσες να προβλεψεις, η ιδια σειρα, απ’ το τελος προς την αρχη. Κι αν θελεις να ξεκινησεις απο καπου αλλου αλλαζεις τη διαδρομη, αλλαζεις σειρα. Το χερι απ’ το παντελονι, στο καθισμα, στο μεταλλο του μπρατσου, στο τζαμι του παραθυρου, και παλι πισω, η ιδια σειρα, με τις αποστασεις που ειχες παρατηρησει στο χωρο. Ολα αυτα εσυ τα λες αντικειμενα ομως ειναι μονο ονοματα που μιλουν στην ψυχη. Και μπορεις παντα να κλεισεις τα ματια και να ξεκινησεις απ’ την αρχη, ειναι παλι το ιδιο, ξερεις πως ειναι. Οχι οπως οταν κοιταζεις, και σιγα σιγα τα βλεπεις αλλιως, αλλαζουν χρωμα επειδη αλλαζει το φως, μεγαλωνουν οταν τα φερνεις κοντα σου, ωσπου δε βλεπεις τιποτα πια, χανονται, μπαινοβγαινουν συνεχεια απ’ το φως στο σκοταδι. Τα ξεχνας στο σκοταδι και τα περιμενεις στο φως. Και τωρα που παμε μες στο σκοταδι, κοιταζεις και περιμενεις να δεις τι θα βγει απο κει, οσο πηγαινουμε. Γιατι ξερεις κιολας πως ο ουρανος ειναι εκει, ακομη κι αν ειναι σκοταδι, ακομα και αδειος. Οπως ξερεις πως κι η γη αποκατω σε σπρωχνει μπροστα. Τη σπρωχνει ο τροχος κι εκεινη τον σπρωχνει μπροστα. Αν μαλακωνε λιγο θα κατεβαιναμε μεσα της. Ισως παμε να κατεβουμε καπου. Ισως οταν φτασουμε εκει, στον οριζοντα, αυτη η επιφανεια να μην ειναι και τοσο σκληρη. Παμε ολοι μαζι προς τα εκει, με το τραινο που αλλαζει το φως και παιζει μαζι του, το φως που αλλαζει παιζοντας πανω σε κατι που φευγει. Που αλλαζει μορφη, επιφανεια που μετακινειται. Και ο δρομος ανοιγει καθως πλησιαζουμε ο δρομος ανοιγει αλλο δρομο για να μην αναγκαστουμε να σταματησουμε, μια πορτα συνεχεια ανοιγει μπροστα μας. Δε θα τη βρουμε ποτε μπροστα μας κλειστη δε θα σταματησουμε δε θα χτυπησουμε δε θα μας ανοιξουν. Ποτε δε θα πιασουμε το κουβαρι που ξετυλιγεται. Θα τυλιγει και θα ξετυλιγει μπροστα μας τις ακρες του, θα το βλεπουμε, σκοτεινο σημειο μακρια και μπροστα. Αθορυβα η πηγαινοντας με το τραινο αυτου του θορυβου. Που σε τραβαει η σε σπρωχνει κινεισαι αλλα μενεις εκει. Και δε σκεφτεσαι πως θα μπορεσεις να ανοιξεις να μπεις να δεις κατι αλλο, γιατι ακομη κι αν προχωρησεις δεν θα φτασεις σε τιποτα, δεν υπαρχει εξω και μεσα, δεν περασες μεσα ποτε, για σενα υπαρχει μονο εισοδος, ακολουθεις μια πορτα που ανοιγει συνεχεια, ομως δεν εισαι μεσα και, φυσικα, δεν υπαρχει τροπος να βγεις.
[...]








ইংরেজি তর্জমা



DIMITRIS LYACOS
Z213: EXIT (excerpt)

Translated from the Greek by Shorsha Sullivan




[...]
In the beginning you don’t see only imagine, then you think that you see - you lay out in your mind a space where, yet, nothing is visible. Mere space and fog. Then you isolate one part of it and try to make out the landscape in your field of vision, to the point that, one by one, objects can be discerned. But the farther away you look it gets blurry again and as you are moving ahead limits are moving away. Then you look out of the window beside you, a few yards away and you are seeing them travel, it isn’t yourself, it’s the objects, if objects you can call them. You see them depart at the side of the train, you can’t touch them, you see them. In sequence, one after the other. And even if your eyes were closed they would still travel through touch, if you could lay out your arm and touch them, you would feel them go past your hand, encounters in time that follow each other in sequence. That’s how you would call it, sequence, and if you were to make in reverse the same movement, you would be able to predict, the same sequence, from the end to the beginning. And if you would like to start somewhere else you could change the course, change that sequence. Your hand from your trousers, to the chair, and its arm, to the glass in the window, and back again, same sequence with the gaps you had noticed in space. It is you that, all those, you are calling them objects, they are only names, however, that speak to the soul. And you have always the option to close your eyes and start afresh, it’s the same again, you know how it is. Not like when you look, and, gradually, you perceive them to be otherwise, changing colour because light changes, grow bigger when you are bringing them close, until you can see nothing more, they vanish, they come in and out of the light. You forget them into the dark and wait for them in the light. And now that we are going ahead in the dark you look and expect to find out what will emerge out of there, as we keep going. For you know as well that the sky is there, even though it is dark, even though empty. As you know that the earth beneath is pushing you forward. The wheel pushes it and, in its turn, it pushes it forward. If it were to yield a little we would be going down inside it. Perhaps we are heading somewhere in order to go down. Perhaps when we get there, on the horizon, this surface won’t be so hard after all. We are heading there all together, with the train shifting the light and playing with it, the light shifting and playing over a thing that is stealing away. That changes form, a surface in motion. And the road opens, as we approach the road opens up a new road, for us not to be forced to a stop, a door is constantly opening in front of us. We shall never find it in front of us closed, shall never stop, never knock, no one will open for us. We shall never take hold of the skein uncoiling. It will coil and uncoil its edges before us, we will keep seeing it, a dark sign far away ahead. Noiselessly, or traveling with the train of this noise. That pulls you or pushes, you move but stay still there. And you don’t care any more how you will manage to open and enter and see something else because even if you advance you will not reach anything, there is no outside and inside, you never came in, for you only the entrance is there, you follow a door that is constantly opening, you are not inside however, and, of course, there is no way you can get out. 
[...]



দিমিত্রিস লিয়াকস (Dimitris Lyacos)

দিমিত্রিস লিয়াকস (Dimitris Lyacos)-এর রচনা পোয়েনা দামনি ট্রিলজি (Poena Damni trilogy)। ট্রিলোজির তিনটি অংশের নাম ইংরেজিতে যথাক্রমে Z213:Exit( জেড দুই এক তিন), With The People From The Bridge (উইদ দ‍্য পিপল ফ্রম দ‍্য ব্রিজ) The First Death (দ‍্য ফার্স্ট ডেথ)। এখন পর্যন্ত সতেরটি ভাষায় অনূদিত এই ট্রিলজি সাম্প্রতিক ইউরোপীয় কাব্যজগতে বিপুল প্রশংসিত এবং বিক্রীত কবিতা সংকলনগুলির মধ্যে অন্যতম। তিরিশ বছর ধরে হয়ে-ওঠা পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তন ও পরিবর্ধন সমন্বিত নতুন নতুন সংস্করণের ভেতর দিয়ে এই ট্রিলজির বর্তমান রূপ। এই প্রথাভাঙা টেক্সট দ্বারা অনুপ্রাণিত ও তার থেকে উৎসারিত বিভিন্ন সহ-পরিকল্পনা ও এর ভেতরে গড়ে ওঠা সংলাপও এই নিরন্তর হয়ে-ওঠাকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। সাহিত্যিক পরম্পরা, আচার, ধর্ম, দর্শন ও নৃবিজ্ঞানের উপাদানের সংমিশ্রন ও সংশ্লেষণের মধ্যে দিয়ে হয়ে ওঠা এই ট্রিলজি ওয়েস্টার্ন ক‍্যাননের অনেকগুলি চিরস্থায়ী মোটিফের প্রেক্ষিতে গ্রান্ড ন‍্যারেটিভের (grand narrative) পুনঃপরীক্ষা করতে চেয়েছে। নোবেল প্রাইজের দাবিদার হিসেবে তাঁর নাম উল্লিখিত হয়েছে। প্রথম বইয়ে তিনি  বর্ণনা করেছেন সুরক্ষিত নগর থেকে পালিয়ে যাওয়া এক তরুণের বিচিত্র ভ্রমণকথা। এই ভ্রমণ কখনো স্বপ্নের ভেতর দিয়ে, কখনো শারিরীক। দ্বিতীয় বইতে আছে একজন ভূতগ্রস্ত মানুষ বাঁচিয়ে তুলছে এক মৃত প্রেমিকার আত্মাকে। তৃতীয় বইতে দেখানো হয়েছে জলবেষ্টিত ভূখণ্ডে আটকে পড়া একজন মানুষের বেঁচে থাকার লড়াই। গদ্য, পদ্য ও নাটকের মিশ্রণে কবি তৈরি করেছেন এমন বাচন যাকে অবশ্যই পোস্টমডার্ন বলতে হয়। ইংরেজি, স্প্যানিশ, ইতালিয়ান ও জার্মান  সহ পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত  লিয়াকতের কবিতা।  শিল্পের অন্যান্য মাধ্যমগুলোতেও উপস্থাপিত হয়েছে  তাঁর কবিতা।

Share this:

ABOUT THE AUTHOR

Hello We are OddThemes, Our name came from the fact that we are UNIQUE. We specialize in designing premium looking fully customizable highly responsive blogger templates. We at OddThemes do carry a philosophy that: Nothing Is Impossible

0 comments:

Post a Comment

সম্পাদক : শুভদীপ সেনশর্মা
সহ-সম্পাদক : মৌমিতা পাল